Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জনসমূহ

শ্রম আইন বাস্তবায়ন: কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নিয়মিত পরিদর্শন, পুনপরিদর্শন, শ্রম আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে উদ্বুদ্ধকরণ সভার মাধ্যমে শ্রম আইন ও তদ্বীয় বিধিমালা বাস্তবায়ন করে থাকে। শ্রম আইন বাস্তবায়নে আমাদের অর্জনসমূহ:

 

পরিদর্শন কার্যক্রম: ২০২০-২১ অর্থবছরে উক্ত দপ্তর কর্তৃক মোট ৩,২৫০ টি কারখানা/প্রতিষ্ঠান ও দোকান পরিদর্শন করা হয়, যা বিবেচ্য অর্থবছরের এপিএ লক্ষ্যমাত্রার (২০০০টি) চাইতে বেশি।

 

উদ্ধুদ্ধকরণ সভা: ২০২০-২১  অর্থবছরের এপিএ অনুযায়ী মোট ৪৪ টি উদ্ধুদ্ধকরণ সভা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। শ্রম আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে বিবেচ্য অর্থবছরে মোট ৪৭ টি উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে ।

 

কারখানার নিবন্ধন/লাইসেন্স প্রদান: নিয়মিত পরিদর্শন, পুনপরিদর্শনের মাধ্যমে যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ এবং নড়াইল জেলার বিভিন্ন কারখানা, বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং দোকানসমূহে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ বাস্তবায়ন পূর্বক ইতোমধ্যে এ বিভাগের মোট  টি কারখানাকে শ্রম আইনের আওতায় লাইসেন্স প্রদান/নিবন্ধন করানো হয়েছে। যশোর জেলার আওতাধীন সর্বমোট লাইসেন্স/নিবন্ধন গ্রহণ করেছে ২৫০০ টি দোকান ও কারখানা এবং প্রতিষ্ঠান। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৬৭৩ টি কারখানা/প্রতিষ্ঠান/দোকানের লাইসেন্স প্রদান/নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়।

 

) রাজস্ব আদায়: বিভিন্ন কারখানা, প্রতিষ্ঠান ও দোকনসমূহের নিকট হতে এ দপ্তরের লাইসেন্স প্রদান এবং পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন ফি বাবদ টিআর চালানের মাধ্যমে মোট ৩,৭৪,৯২৬ (চব্বিশ লক্ষ চুয়াত্তুর হাজার নয়শত  ছাব্বিশ) টাকা কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

 

ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরের শিশুশ্রম নিরসন: সরকার ঘোষিত ৩৮ টি ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরের মধ্যে বর্তমানে বেকারী, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ, অটো মোবাইল ওয়ার্কসপ এবং নির্মাণ সেক্টরে শিশুশ্রম নিরসনের কাজ চলমান রয়েছে।

 

) কারখানার কম্প্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ: কারখানার উৎপাদনশীলতা উন্নতীকরণের লক্ষ্যে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে এ দপ্তর নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, পুন:পরিদর্শন ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা সহ এ দপ্তরের নানান কর্মতৎপরতায় বিগত সময়ে ১৬টি কারখানা-প্রতিষ্ঠানে কম্প্লায়েন্স নিশ্চিতকরা হয়েছে।

 

ছ) সেইফটি কমিটি গঠন: কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের স্ট্রাকচারাল, ফায়ার এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শ্রম আইনের বিধান অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মোট ৬১ টি কারখানায়/প্রতিষ্ঠানে সেফটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং কল্যাণ নিশ্চিতকরণে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 

জ) ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন: মজুরি বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন শিল্প সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সময়ে সময়ে ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন কার্যক্রম অব্যাহতভাবে চলছে। এ দপ্তর থেকে নিবন্ধন গ্রহণকারী সকল কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

ঝ) শ্রম অসন্তোষ দূরীকরণ: বিভিন্ন কারখানা-প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের আইনানুগ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও পাওনা সময় মতো প্রদান নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোন শ্রম অসন্তোষের আগাম তথ্য সংগ্রহের জন্য দপ্তরে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মালিক ও শ্রমিক/শ্রমিক প্রতিনিধি, শিল্প পুলিশ  এবং সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হয়েছে। তাই কার্যালয়ের অধিক্ষেত্রাধীন কোন কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে শ্রম অসন্তোষের কোন ঘটনা ঘটার পূর্বেই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে কারখানা-প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কর্ম নির্বিঘ্ন রাখা সম্ভব হয়েছে।